Your Cart

Your cart is empty

Go find your favorite products and add them to the cart.

Continue Shopping

Sub Total

Tk


Proceed to Checkout

"বাচ্চারা, খাবার রেডি, খেতে আসো" কেন বলা যাবে না

"বাচ্চারা, খাবার রেডি, খেতে আসো" কেন বলা যাবে না

🍽️ খাবার রেডি করে বাচ্চাদের খেতে ডাকবেন না — সবাইকে খাবার রেডি করার দায়িত্ব দিন

আমাদের সমাজে এখনও বেশিরভাগ পরিবারেই খাবার তৈরি ও পরিবেশনের দায়িত্ব এককভাবে মায়ের ওপর পড়ে। মা রান্না করবেন, টেবিল গুছিয়ে খাবার দেবেন, তারপর ডাক দিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে আসবেন খেতে। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি—এই পদ্ধতিতে বাচ্চারা কী শিখছে?

এই চর্চায় শিশুরা একটি ভুল বার্তা পায়—যে খাবার তৈরি ও পরিবেশন করা শুধু মায়ের বা অন্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির দায়িত্ব। অথচ, ঘরের প্রতিটি কাজেই পরিবারের সবার অংশগ্রহণ থাকা উচিত। বিশেষ করে ছোটবেলা থেকেই শিশুদের শেখানো দরকার যে, খাওয়া শুধু মুখে খাবার তোলার কাজ নয়—এর পেছনে শ্রম আছে, সম্মান আছে এবং দায়িত্বও আছে।


✅ কেন খাবার পরিবেশনে সবাইকে যুক্ত করা জরুরি?

১. দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে:
যখন আপনি বাচ্চাকে প্লেট গুছিয়ে টেবিলে রাখতে বলেন, বা পানি ঢেলে দিতে বলেন, সে তখন শেখে—একটি কাজের জন্য সবার দায়িত্ব ভাগ করা প্রয়োজন।

২. কাজের প্রতি শ্রদ্ধা তৈরি হয়:
নিজে যদি খাবার পরিবেশন করে, তাহলে সে বুঝতে শেখে রান্নার পরিশ্রম কেমন। এতে সে খাবার নষ্ট করতেও দ্বিধা বোধ করে।

৩. আত্মবিশ্বাস বাড়ে:
ছোট ছোট কাজে অংশ নিলে বাচ্চাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। তারা ভাবে—“আমি পারি”, এবং সেটা তাদের পরবর্তীকালে নানা কাজ শেখার ভিত গড়ে দেয়।

৪. একসাথে সময় কাটে:
সবার অংশগ্রহণে খাবার পরিবেশন একটি সুন্দর পারিবারিক মুহূর্ত হয়ে ওঠে। এতে পারিবারিক বন্ধনও দৃঢ় হয়।


🎯 কীভাবে শুরু করবেন?

১. বয়স অনুযায়ী দায়িত্ব দিন:
ছোটরা টিস্যু বা চামচ দিতে পারে, বড়রা পানি ঢালতে বা টেবিল গুছাতে পারে।

২. খেলার মতো করে শেখান:
“চলো দেখি কে আগে টেবিল গুছাতে পারে!”—এভাবে খেলাধুলার মেজাজে দায়িত্ব ভাগ করলে বাচ্চারা আগ্রহী হয়।

৩. ধৈর্য ধরুন:
শুরুতে হয়তো বাচ্চারা ভুল করবে, বা আগ্রহ দেখাবে না। কিন্তু নিয়মিত প্রশংসা ও উৎসাহ দিয়ে তাদের অভ্যস্ত করে তুলুন।

৪. উদাহরণ হয়ে উঠুন:
আপনি নিজে হাসিমুখে কাজ করলে বাচ্চারাও আপনাকে অনুসরণ করবে।


🌱 ছোট কাজ, বড় শিক্ষা

বাচ্চারা আমাদের প্রতিদিনের আচরণ থেকেই শেখে। তাই যদি আমরা চাই তারা দায়িত্বশীল, শ্রদ্ধাশীল ও আত্মনির্ভর হয়ে বড় হোক—তাহলে তাদের ছোটবেলা থেকেই পারিবারিক কাজে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।
“খাবার রেডি করে বাচ্চাকে খেতে ডাকবেন না—বরং তাকে বলুন, আজ তুমি চামচ নিয়ে আসো।”
এটাই হবে তার শেখার প্রথম ধাপ।


খেলাপড়া বিশ্বাস করে শেখা শুরু হয় ঘর থেকেই—খেলতে খেলতেই, করতে করতেই।
আপনার সন্তানকেও দিন শেখার এমন বাস্তব সুযোগ, প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজের মধ্য দিয়ে।